বৃহস্পতিবার, ৩১ Jul ২০২৫, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন

পঞ্চগড়ে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, জেলা চেয়ারম‍্যান, ডিসি, এসপি ও মেয়রের বিরুদ্ধে হত‍্যা মামলা

পঞ্চগড়ে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, জেলা চেয়ারম‍্যান, ডিসি, এসপি ও মেয়রের বিরুদ্ধে হত‍্যা মামলা

মোঃ এনামুল হক, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:: পঞ্চগড়ের সাবেক রেলমন্ত্রী, এমপি, সাবেক জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারসহ ১৫৪ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৭০০-৮০০ জন আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী আব্দুল ওহাব আনসারী বলেন, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানা পুলিশকে তদন্ত করে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত সোমবার পঞ্চগড় আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী বোদা উপজেলার চন্দনপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ আরেফিন এর স্ত্রী মোছা: শিরিনা আক্তার। তিনি আসামীদের আটক করে সুবিচারের দাবী জানিয়েছেন।

আসামীরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, সাবেক এমপি নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা, সাবেক এমপি মজাহারুল হক প্রধান, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, সাবেক জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস ও এস এম সফিকুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, পঞ্চগড় সদর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিঞা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আল তারেক, আবু তোয়াবুর রহমান, মোশারফ হোসেন, আব্দুল লতিফ তারিনসহ ১৫৪ জনের নাম ও অজ্ঞাতনামা ৭০০-৮০০ জন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে, পঞ্চগড় জেলা দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ পালন করছিল। সমাবেশে জেলা উপজেলার নেতাকর্মীসহ জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচিতে অতর্কিত হামলা করে, পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানেগ্যাস ছুঁড়ে। নেতাকর্মীরা প্রাণভয়ে দিকবেদিক ছুটাছুটি করে।

আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে বাদিনীর স্বামী মৃত আব্দুর রশিদ আরেফিনকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরে আঘাত করে। একপর্যায়ে মাটিতে পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করতে নুরুজ্জামান বাবু গেলে তাকেও মারপিট করে রক্তাক্ত করে। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চলে গেলে, আব্দুর রশিদ আরেফিন ও নুরুজ্জামান বাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রশিদকে মৃত ঘোষণা করে। নুরুজ্জামান বাবুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেলে হস্তান্তর করে। তার মাথায় পাঁচটি সেলাই রয়েছে। আসামীরা দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও জ্বালিয়ে দেয়। এতে ছয় লক্ষ ৫৯ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়। তৎকালীন পতিত স্বৈরাচারী সরকারের ভয়-ভীতি ও প্রাণনাশের আশঙ্কায় এতদিন মামলা করতে পারেননি বাদী পক্ষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com